নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় নসিয়া বেগম (৭০) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে পায়ে ফোঁড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী। পরে ওই দিনই তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
রোগীর স্বজনরা জানান, নসিয়া বেগম ডায়াবেটিসের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। যে সময় তার অপারেশন করা হয়, সেসময় তার শরীরে সুগারের মাত্রা ছিল ২০.৩০। এমতাবস্থায় তার অপারেশন করেন ডা. হাসানুল বারী শিশির। অপারেশন করার পর নসিয়া বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে এবং শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
তারা অভিযোগ করে বলেন, জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালে নসিয়া বেগমের অপারেশন করার পর থেকে তার অবস্থার অবনতি হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার কর্ণপাত করেন নাই। শুধু তাই নয়, কোন ডিউটি ডাক্তার এ কদিনে একবারের জন্যও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নাই। রোগী মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করার পরেও দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও নার্সরা সবকিছু স্বাভাবিক আছে বলে জানান। এমনকি নসিয়া বেগমের মৃত্যুর পরেও কোন ডাক্তার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাই।
নসিয়া বেগমের মেয়ের জামাতা বেলাল জানান, তার শাশুড়িকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলেছে জামালপুর ডায়াবেটিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপারেশন শেষ করেই তারা দায়সাড়া ভূমিকা পালন করেছে। এসময় এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
নসিয়া বেগমের মেয়ে রেখা মনি জানান, ডায়াবেটিস টেস্ট করার জন্য তার মাকে জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা। এরপর পায়ের ফোঁড়া অপারেশন কম খরচে করে দেওয়ার প্রলোভনে তার মাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর অপারেশন শেষে আর কোনো খোঁজ নেয়নি কর্তব্যরত ডাক্তার।
এ বিষয়ে ডা. হাসানুল বারি শিশির জানান, নসিয়া বেগমের একটা ছোট্ট সার্জারি করা হয়েছে। এধরনের সার্জারির কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনা অসম্ভব। অপারেশনে কোনো ত্রুটি ছিল না, অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।
ওই হাসপাতালে রোগীর পর্যবেক্ষণকারী উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আল আমিন জানান, রোগী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বমি করে এবং সেখানে সেদ্ধ ডিমের অংশ দেখতে পাওয়া যায়। সম্ভবত গলায় ডিম আটকে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।।
নিজস্ব প্রতিবেদক জামালপুর বার্তা জামালপুর।