ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে লাশ গুম ও মানহানির পৃথক মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরিষাবাড়িতে ছাত্রদল নেতা মাসুদ হত্যা ও তার লাশ গুমের অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম। মামলায় বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে জামালপুর-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা মাসুদ ও আইয়ুব আলীকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়। পরে চেচিয়াবাঁধা এলাকায় যমুনা নদীর শাখা নদীতে হত্যার উদ্দেশে মাসুদকে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে মাসুদকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই মামলায় ডা. মুরাদ হাসানসহ নয়জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়।
অপরদিকে, একই দিনে মানহানির মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানসিয়ানা নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এ ধরনের মন্তব্য করায় ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলাটি করেছেন সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দী চেচিয়াবাঁধা এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে বিএনপির কর্মী রুমেল সরকার।
মামলা দুটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।