প্রবাহিণী যমুনার নিত্য ভাঙ্গা গড়ায়,
স্থান বদলানো ফেরীঘাট, যাত্রীদের অপেক্ষায়,
জলযান তিতুমীর, বাহাদুর শাহ, ঈশা খাঁ তুলত মৃদু গর্জন!
রক্তে গতি তুলত স্রোতের শব্দ, নদী, নীলাভ গগণ!
নদীর অদূরে থামা রেলগাড়ি,
যাত্রীদের উঠা নামার হুড়োহুড়ি,
কুলিদের হাঁক, দুপাশে অস্থায়ী দোকান থেকে,
সদ্য তুলে আনা মাছের তরকারি!
জাগিয়ে তুলত পেটের খিদে,
থমকে যেত দিদ্বিদিক ছুটে চলা মানুষ, যেন ভীষণ তাগিদে।
ঝিমিয়ে পড়া ঘাটে হঠাৎ গতি আনত প্রাণে,
তিস্তা ও একতার হুইসেল, কখনো গতি ফিরত স্টিমারের সাইরেনে,
পানিফল, শাপলা শালুক হাতে,
ছোট্ট কিশোরী, ডালা নিয়ে পান-বিড়ির দোকানী, ছুটত রাত-বিরাতে,
সন্ধ্যার আযানে এই ঘাটের কাউকে বাড়ি ফিরতে হত না!
বাহাদুরাবাদ ঘাট! হারিয়ে গেছে, যেন হারিয়ে গেছে যমুনার এক গহনা!