বকশীগঞ্জে গৃহবধূকে গাছে বেধে রাখার ভিডিও ভাইরাল: কি ঘটেছিল?
গৃহবধূকে গাছে বেঁধে রাখার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। অভিযোগ উঠেছে নির্যাতনের। বকশীগঞ্জ উপজেলার মালিরচর জিগাতলা গ্রামে ঘটা এই ঘটনায় শিলা পারভীন (৪০) নামে নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনলাইনে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে থানা পুলিশের। পরে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিলা পারভীনকে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জিগাতলা গ্রামের দিনদার হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী মাহমুদা বেগম। প্রায় ১৩ বছর আগে আসাদুল ও মাহমুদা বেগমের বিয়ে হয়। ৩ বছর বয়সি একটি সন্তানও রয়েছে তাদের। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের সম্প্রতি গত ২৩ আগস্ট আসাদুল ইসলাম তাকে তালাক দেন। জানতে পেরে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে আসাদুলের বাড়িতে চলে আসে মাহমুদা বেগম। এরই এক পর্যায়ে আসাদুলের ঘরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে বলেছেন স্থানীয় কয়েকজন। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। পরে বাড়ির আঙিনায় একটি গাছে বেঁধে রাখা হয় মাহমুদা বেগমকে। পরে এসংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
১৩দিন আগে তালাকের কথা বলা হলেও নির্যাতিত গৃহবধু মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪/৫ দিন আগে আমার স্বামী আসাদুল হক নিজে আমাকে বেড়ানোর জন্য বাপের বাড়ি রেখে আসছে। আজ বাড়িতে আসছি বলতেছে আমাকে তালাক দিয়েছে। আমি এসবের কিছুই জানি না। প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করেছে।
জামাই আসাদুলকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ৫ লাখ টাকাও দেওয়া হয়েছিল বলে নির্যাতিতা গৃহবধু মাহমুদা বেগমের মা মনোয়ারা বেগম জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আসাদুল ইসলামের বড় ভাই ও বকশীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আলমাছ জানান, নির্যাতনের বিষয়টি সঠিক নয়। তাকে (মাহমুদা বেগম) তালাক দেওয়ার পরও আমার ভাইয়ের বাড়িতে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় তাকে ওভাবে রাখা হয়।
বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আবু শরীফ জানিয়েছেন, গাছে বেঁধে রাখার বিষয়ে শিলা পারভীন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।