মতামত: সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ওরা কারা?
আশিক আহমেদ টগর: সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিগত সরকারের আমলে গৃহিত একটি পরিকল্পনা কোনো কারণে এতদিন আটকে ছিল। অবশেষে পরিবেশবাদীদের দাবির মুখে বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়নের চিন্তা করছে। যদিও তা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। নিবন্ধন করে যাওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়াই হয়নি।
আর যদি তা হয়ও তবে তা ইতিবাচকই, আপত্তি কিংবা আতঙ্কের কিছু নেই তাতে। সেটাও দ্বীপটির বৈচিত্র ও দ্বীপটি ভালো রাখার স্বার্থেই। কারন ছোট দ্বীপটি সত্যিই ঝুঁকির মধ্যে আছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পরিবেশ সংকটাপন্ন স্থান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল এসব স্থানে পৃথিবীর প্রায় সবদেশই জনসাধারণের গমন নিয়ন্ত্রণ করে।
পাশ্ববর্তী ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ সহ কিছু দ্বীপে যেতে হলেও তাদের নাগরিকদের শারীরিক পরিক্ষা নিরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে শর্ত সাপেক্ষে নিবন্ধন করেই যেতে হয়। আর আন্দামানের সর্ব দক্ষিণের সেন্টিনেল দ্বীপতো এমন একটি জুওলজিকাল এরিয়া যাতে জনসাধারণের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ।
অথচ পরাজিত অপশক্তি একেরপর এক মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অজনপ্রিয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। যারা কদিন আগেও সীমান্ত হত্যা, ভারতকে ট্র্যানজিট-করিডোর প্রদান, দেশবিরোধী চুক্তি, মোংলা বন্দরের দায়িত্ব ভারতকে হস্তান্তর, ভারত-মিয়ানমারের যৌথ আগ্রাসনের সময়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল তারাই আজ বিরাট দেশপ্রেমিক বনে গেছেন।
(জামালপুর বার্তায় প্রকাশিত মতামতের সাথে সম্পাদকীয় নীতিমালার মিল নাও থাকতে পারে)