“বন্ধের পথে আরো ২টি চিনিকল, লোকসান গুনলে বন্ধ হবে আরো”
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু বলেছেন, সারা দেশের ১৫ টি চিনিকলের ভেতর লোকসানে থাকা ৬ টি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এরকম লোকসানে থাকা আরও ২ টি মিল বন্ধ হয়ে যাবে, মোট ৭ টি মিল থাকবে । আর এসব সাতটি মিলের ভিতর যেসব মিল লাভের মুখ দেখাতে না পারবে লোকসান গুনবে, আস্তে আস্তে সেসব মিলগুলিও বন্ধ করে দেবে সরকার। আর মিলগুলি যেন লাভজনক হয় তার ব্যাবস্থা মিলের অফিসারদের কেই করতে হবে। যুগের পর যুগ লোকসান হলে এই মিলগুলিকে বাঁচানোর আর তেমন কিছু থাকবেনা বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভালো অবস্থানে থাকা জিল বাংলা সুগার মিল সহ অন্যান্য মিল গুলি আপাতত বন্ধ করবেনা সরকার। আজ দুপুরে জিল বাংলা সুগার মিলের অতিথি ভবনে মিলের ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন চাষিদেরকে মিলের দিকে আকৃষ্ট করতে হবে। চাষ আর চাষি না থাকলে এসব মিলকে চাইলেও আর রক্ষা করা যাবেনা, মিল এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার এভাবে আর মিলগুলিকে চালাতে চাচ্ছেনা। মিলের অফিসার এবং শ্রমিকদেরকে নির্মোহভাবে মিলের স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে। মিল না বাঁচলে আপনারাও আপনাদের চাকুরী হারাবেন, লোকসানের কারনেই মিলের সারা দেশের কিছু অফিসার কর্মচারি ছাটাই করা হয়েছে। তিনি উন্নত মানের আঁখের জাত উদ্ভাবন সার বীজ যথাসময়ে সরবরাহের তাগিদ দেন ।
জিল বাংলা সুগার মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আলির সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ , জিল বাংলা সুগার মিলের জি এম ( কৃষি ) মজিবুর রহমান, সিপিও মুস্তাফিজুর রহমান ,ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি লিচু মিয়া, সাধারন সম্পাদক রায়হানুল হক রায়হান ,চাষি কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা ,কালের কন্ঠের দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ তালাশ , আখ চাষি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবলী