সাহিত্য

মাহবুব বারী’র একগুচ্ছ কবিতা

পরিণতি

জানো তো
আলোর গতিতে আক্রমণ
আর শব্দের গতিতে জয়লাভ করত যুদ্ধবাজ হিটলার
কিন্তু তার পরিণতি তোমাকে ভাবায়না কেন?

মানুষ

এই যে বিচূর্ণ আয়না
তাতে দেখেছিলাম ইতিহাসের ভাঙাগড়া
সেখানে মানুষই মানুষের আততায়ী
আর মানুষই মানুষের প্রেমিক।

লাবিদ

সপ্তঝুলন্ত গীতিকবিদের মধ্যে অন্যতম লাবিদ
সত্যান্বেষী; তিনি বলেছেন:-
আল্লাহ ছাড়া সবকিছু অন্তঃসারশূন্য –
তুমিও কি তাই মনে করো

তত্ত্ব

তত্ত্বদর্শীদের কাছ থেকে একটি তত্ত্ব পেয়ে গেছি আমি-
‘নিজেকে খোঁজো’ – সেই থেকে আজো নিজেকে খুঁজে বেড়াচ্ছি ।

ভালোবাসা আর সম্মান

যে ভালোবাসা আর সম্মান
হাজার রক্তক্ষরণের বিনিময়ে কেনা
মুহূর্তের ভুলে হে সতীর্থ বন্ধু সুজন
কোনো অনুগ্রহের আশায়
তাকে, পাহারাদারের কাছে বিক্রি করো না।

হৃদয়

হে হৃদয় বন্দি পাখির মতো তুমি এখন
বসে বসে স্মৃতিচারণ করো
কারণ
উড়ে বেড়াবার দিনগুলিতে তুমি তো
বন্দিত্বই আশা করেছিলে!

স্বভাব

কী অদভুত স্বভাব তোমার
একবার প্রকাশ্য হও একবার রহস্যে অন্তর্লীন!

হৃদয়ের আগুন

কীভাবে নেভাব হৃদয়ের আগুন
যখন দহন তীব্র হয়ে যাবে, বন্ধু
তখন তো আমার একমাত্র ভরসা
এই চোখের পানি!

প্রাণ

যার জন্য এই প্রাণ দিতে চাই, হে বন্ধু
তার জন্যই তো বেঁচে থাকা প্রয়োজন !

বাসনা

হৃদয় তো শুধু টুকরো মাংসপিণ্ড
সে কেমন করে এত বাসনার কথা বলে!

ছোবল

এত সুন্দর এত বিনম্র
আর লতানো স্বভাব দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই
কিন্তু কী করে ভুলি
তুমিও ছোবল দিতে জানো!

নিরাশার আধারে

এই বেঁচে থাকা কত যে দুঃসাধ্য যে জানে সে জানে
তবু দেখো
আশার আলো নিরাশার আঁধারেই জ্বলছে !

 

 

 

 

 

 

 

জন্ম :০২ নভেম্বর ১৯৫০, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল। ১৯৮৩ সালে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে যোগদান, ২০০৭ সালে গবেষণা কর্মকর্তা থাকাকালে অবসর। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:
হ্যাঙ্গার, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫। ঈশ্বরের ছবির ওপর, ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। অধরা, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭। অনির্বাচিত, মার্চ ২০০৫। জড়ো করি ঝড়ো রাতের তারা, ফেব্রুয়ারি ২০১০। মাহবুব বারীর কবিতা, ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *